ঠাণ্ডা জাঁকিয়ে না পড়ায় ,দুশ্চিন্তায় খেজুর গুড় প্রস্তুতকাররা
এসবি নিউজ ব্যুরো: শীতকালে নলেন গুড়ের সন্দেশ, খেজুর গুড়ের রসগোল্লা, পাটালি, খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি পায়েস অথবা খেজুর গুড়ে ডুবিয়ে পিঠে বাঙালির প্রিয় খাবার। সাধারণ ভাবে মিষ্টি অপচ্ছন্দের তালিকায় থাকলেও বর্তমান প্রজন্ম ও খেজুর গুড় দিয়ে পিঠে বা পায়েস খেতে খুব ভালবাসে। বাঙালির কাছে শীতকাল ও খেজুর গুড় কার্যত সমার্থক। শীত পড়তে না পড়তেই অন্যান্য বারের মত এবারও এলাকার মানুষের খেজুর গুড় খাওয়ার ইচ্ছে পূরণ করতে নদীয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে এসে হাজির খেজুর গুড় প্রস্তুতকারক তথা ব্যবসায়ীরা।
প্রায় সহস্রাধিক খেজুর গাছ ‘লিজ’ নিয়ে সেগুলি থেকে খেজুর রস সংগ্রহ এবং গুড় ও পাটালি তৈরি করতে শুরুও করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে খদ্দেরদের আগমন শুরু হয়েছে। কিন্তু বিপত্তি এখানেই। খেজুর গুড়ের স্বাদ ও গন্ধ পেতে গেলে দরকার পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা। দুয়ারে ঠাণ্ডা অপেক্ষা করলেও এখনো জাঁকিয়ে শীত না পড়ার ফলে সংগৃহীত খেজুর রসের পরিমাণ যেমন কম হচ্ছে তেমনি তার গুণমান কম। উৎপন্ন খেজুর গুড় ও পাটালির মধ্যে চির পরিচিত স্বাদ পাওয়া যাচ্ছেনা।
তুলনামূলকভাবে খদ্দেরদের সংখ্যা ও ক্ষতির আতঙ্ক গ্রাস করছেন খেজুর গুড় উৎপাদকদের। কপালে তাদের চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।নদীয়া থেকে আগত অন্যতম খেজুর গুড় উৎপাদক বললেন,আমি এখানে ১৪-১৫ বছর ধরে আসছি। ঠান্ডা সেভাবে না পড়ার জন্য রসের পরিমাণ যেমন কম হচ্ছে, তেমনি উৎপন্ন খেজুর গুড়ের মধ্যে সেভাবে স্বাদ পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে খদ্দেরদের সন্তুষ্ট করতে পারছিনা। তার আশা এই সাময়িক বৃষ্টি শেষ হলেই হয়তো আশানুরূপ ঠান্ডা পড়বে।
Dec 09 2023, 08:46